মেঘনা টিভি নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে আর সংসদ নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। চট্টগ্রাম-১৪ আসন আমার নির্বাচনি এলাকা। এ আসন থেকে আপনারা আমাকে বারবার নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। এবার আমার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবেন। সে আমার সব অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) নির্বাচনি এলাকার সাতকানিয়া আংশিক ধর্মপুর ইউনিয়নে বণিকপাড়া দুর্গা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন।
নিজের ছেলের প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদের ছায়া দেবে কে? সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না।
এ সময় সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম উল্লেখ করে এলডিপির এই নেতা বলেন, এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এগুলো কি মানা যায়?
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপির নেতাকর্মীকে পাশে পাবেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।