নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় দোকানপাটে হামলা, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে আবুল কালাম (২২) ও রবিউল ইসলাম মুরাদ (২৩) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ১০/এ নম্বর সড়ক থেকে সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে উত্তরার হজ্ব ক্যাম্প আর্মি ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেনা কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে একদল চাঁদাবাজ চক্র দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা, লুটপাটের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে একটি টিম ঘটনাস্থল গিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, 'চাঁদাবাজ চক্রটি কিছু দিন যাবৎ ধরে ওই সড়কের দোকানদারদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু দোকানদার ও ফুটপাতের লোকজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে চক্রের লোকজনি এসে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে পাঁচ-ছয় নারীসহ পুরুষ দোকানদার আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালাম নামের একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ মুরাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ ট্রান্সমিটার এলাকার জজ মিয়ার ছেলে আবুল কালাম ও একই এলাকার নজির আহমেদের ছেলে রবিউল হাসান মুরাদ।
এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ডিম ও শরবত ব্যবসায়ী মো. সাজু মিয়া। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনকে আসামী করেছেন।
ডিম ও শরবত ব্যবসায়ী সাজু মিয়া মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, 'উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ১০/এ সড়কের মাথায় আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ডিম ও শরবতের ব্যবসা করি। কিন্তু মাসুদ, তুহিন, আবুল কালামরা প্রায় সময় দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে। পরে চাঁদা দিতে না চাইলে সোমবার বিকেলে এসে দোকান করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়।
তখন বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়ার কথা জানাই। তখন চাঁদাবাজরা তাদেরকে হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে সেটি দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রী সূর্য বানু ও ছেলে সাজ্জাদ, সাওন, শ্যালক মানিক এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়।
চাঁদাবাজ গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েক ঘন্টা যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পরে পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি একটি মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে আছি। আপনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারপর ডিউটি অফিসারের নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদ ফোনটি রিসিভ করে বলেন, 'আমি সহকারী ডিউটি অফিসার। ডিউটি অফিসার স্যার নামাজ পড়তে গেছেন। মামলার কাগজপত্র স্যারের কাছে। তিনি বলতে পারবেন।