স্থানীয়দের দাবি , চরণী পত্তাশী এলাকায় নির্বাচনের আগের দিন ৭ই মে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।পুলিশি তদন্ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে। তারা অবিলম্বে চেয়ারম্যান জিয়াউল গাজীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় মামলা প্রত্যাহার না হলে ইন্দুরকানী উপজেলাবাসীকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মামলার অন্যতম স্বাক্ষী পিরোজপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিটর এ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান বাবু বলেন,ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মে মাসের ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বানের আগের দিন ৭ই মে মামলার বাদী আ: জলিল খানের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কোন নির্বাচনীয় এলাকায় আমার যাওয়া হয়নি। ওই দিন কোর্টের একটি মামলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে সাংবাদিক আ:জলিল খান মিথ্যা মামলায় আমাকে স্বাক্ষী বানিয়েছেন শুনেছি। আমি সাংবাদিক হিসেবে নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়ে ছিলাম। কিন্তু ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো:জিয়াউল আহসান গাজী জানান, ওই দিন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু আ:জলিল খানকে আমি চিনি না। তিনি আমার ভাই ও ভাইরপোদের জরিয়ে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান,গত ৮ মে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিয়াউল গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।জিয়াউল গাজীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। আ:জলিল খান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মামলা করা ঠিক হয়নি।
আমরা স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে আ:জলিল খানকে চিনি না।ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগে বা পরে কোন ব্যক্তির ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে নি।এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমরাই পত্রিকায় রিপোর্ট করতাম।
এ বিষয় আ:জলিল খান তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:মারুফ হোসাইন বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল গাজীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।