মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এমপি পোটন তিন দিনের রিমান্ডে আত্রাইয়ে টিসিবির স্মার্ট পরিবার কার্ড বিতরণ, সাংবাদিকদের সাথে রায়পুরার ওসির মতবিনিময় সভা। নরসিংদীতে ছাত্রদলের কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা  নরসিংদীতে মাষ্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অপপ্রচার বন্ধ আত্রাইয়ে কুলি ও ভাসমান বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ আত্রাইয়ে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে লক্ষাধীক টাকার আসবাবপত্র পুড়ে ছাঁই চারণ সাংবাদিক রতন সরকার স্মৃতি সম্মাননা পাচ্ছেন সাপ্তাহিক আজকের চেতনা পত্রিকার সম্পাদক এবিএম আজরাফ টিপু ফ্রিজ থেকে বৈদ্যুতিক গোলযোগে বনশ্রীতে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড তেরখাদায় ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৪

৭ই নভেম্বর: ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান

মন্তব্য কলাম

৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন, যা সিপাহী-জনতার বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত। এই দিনে সিপাহী ও সাধারণ জনতা একত্রিত হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কাঁধে করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল এবং রাষ্ট্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। সেই অন্ধকার সময়ে জিয়াউর রহমান, যিনি তখন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান, জনগণের আশার আলো হয়ে উঠেছিলেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন একজন দৃঢ় নেতৃত্বের অধিকারী। তাঁর নেতৃত্বে দেশের কৃষি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং কৃষি উৎপাদনে বিপ্লবী পরিবর্তন আনার মাধ্যমে তিনি দেশকে একটি উন্নত জাতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। বিশেষত, তাঁর আমলে খাদ্যশস্য উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পায়, ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূর্ণ হয় এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়।শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নতুন জাতীয় পরিচয় লাভ করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সন্মানিত হয়। তাঁর ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের জাতীয় সংহতি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং বিশ্ব দরবারে তিনি একটি শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

তবে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের পর এক সংঘর্ষময় রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেখানে বিভিন্ন মহল ক্ষমতার জন্য লড়াই করছিল। শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর নেতৃত্বের শূন্যতা দেশে গভীরভাবে অনুভূত হয়।আজও ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জাতীয় ঐক্যের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ৭ই নভেম্বরকে ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব’ হিসেবে পালন করা হয়, যা দেশপ্রেমিক জনগণের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।

লেখক ঃ মাসুদ রানা বাবুল
সমন্বয়ক
জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম নরসিংদী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


https://www.facebook.com/profile.php?id=100089135320224&mibextid=ZbWKwL