মেঘনা টিভি নিউজ ডেস্ক: ভূমি সংক্রান্ত কাজে অন্তর্বর্তী সরকার কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে মানুষ এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘিরে যে দুর্নীতির চক্র; আমরা আজীবন শুনে আসছি যে, তহসিলদারের দৌরাত্ম্যে গ্রামের মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামানসহ অনেকে।
সেবাপ্রার্থীদের অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে হাসান আরিফ বলেন, সেবা নিতে গিয়ে ১০০ টাকার খাজনা দিতে তাকে এক হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিবিড় তদারকি দরকার। ভূমি অফিসের যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নিতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে।হাসান আরিফ বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের খতিয়ান, খাজনা দেওয়া, মিউটেশন ইত্যাদি বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা দরকার, কিন্তু সেটা আদৌ হয়নি। আমি বলবো না অল্প-বিস্তর হয়েছে, একেবারেই হয়নি।
ভূমি রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের কথা উঠে আসে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অফিসটি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রস্তুত একটি প্রতিবেদনে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার পরমর্শ এসেছে।
২০০৮ সালে আমি ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে এসেছিলাম, কারণ তখন আমি একই সঙ্গে ভূমি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলাম।
তখন কাজটা করা আমার জন্য সহজ ছিল। কিন্তু সেটা পরবর্তীকালে আর থাকেনি। পরবর্তী সরকার আসার পর সেটা আবার বদল হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা আবার নতুন করে এখন চেষ্টা করতে পারি।