পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আরও বে-পরোয়া হয়ে উঠছে তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধিপত্যর বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গত তিন সপ্তাহে ককটেল হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।
বুধবার ভোর থেকেও দুই গ্রুপের থেমে থেমে সংঘর্ষে চলছে। এতে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৮টি বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েক বছর ধরে ককটেলের সংস্কৃতি চলছে। সব বিরোধের জের ও প্রতিপক্ষ দমনে এখানে প্রাণঘাতি ককটেলের ব্যবহার হয়।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। দুই সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। লুটপাট চালানো হয়েছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, শুরুতে এটি এলাকার আধিপকত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব থাকলেও পরে রাজনৈতিক ঘটনা বেরিয়ে আসছে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাবুল মাস্টার ওরফে বাবু আওয়ামীলীগ একজন লিডার তার নেতৃত্বে চলছে ককটেল তান্ডব নীলা। বাবুল মাষ্টারের নেতৃত্বে এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ লুটপাট ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছেন তার ক্যাডার বাহিনীর লোকজন।
রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে বুধবার এ দ্বন্দ্ব ভয়াবহ রূপ নেই। অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আরও বে-পরোয়া হয়ে উঠছে তারা।