ক্রাইম রিপোর্টার : নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে অবস্থিত ২০০ বছরের পুরনো শশধর মাস্টার মার্কেটটি জবরদখলের চেষ্টা করছেন ভূমিদস্যু আতাউর মিয়া ও তার সহযোগীরা।
শশধর মাস্টার পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তাদের বংশগত সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে এই মার্কেটটি তারা ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে মার্কেটটিতে প্রায় ৫০টি দোকান রয়েছে, যেখানে ব্যাংক এশিয়া, বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন , সুতার দোকান, কাপড়ের দোকান ফ্যাশন হাউজসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতাউর মিয়া গং জাল দলিল তৈরি এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে এই ঐতিহ্যবাহী মার্কেটটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শশধর মাস্টারের ছেলে প্রশান্ত অভিযোগ করেছেন, সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ার কারণে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিচ্ছে আতাউর মিয়া গং।
ব্যবসায়ীরা জানান, শশধর মাস্টারের কাছ থেকে তারা বহু বছর ধরে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। শশধর মাস্টারের মৃত্যুর পর তার ছেলে প্রশান্ত বাবু কাছে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন তারা। ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মালিক জানান, ২০১৩ সালে শশধর মাস্টারের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চারতলা ভবনে ব্যাংক পরিচালনা শুরু করেন, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এই জমি নিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আইনজীবী সহকারী সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এই জমি জালিয়াতি করে দখলের চেষ্টা করছে। মামলা পরিচালনাকারী নাজমুল কাদিরের চেম্বারে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাস্টারের ছেলে জানান, প্রশান্ত জানান “আমরা ওয়ারিশ সূত্রে এই মার্কেটের মালিক এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় ভূমিদস্যুরা আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নরসিংদী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এবং ভারতের হাইকমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।
সংখ্যালঘু এই পরিবারের ওপর অন্যায় ও নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। একদিকে ঐতিহ্যবাহী এই মার্কেট রক্ষার দাবি, অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করার তাগিদে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে সংখ্যালঘু শিক্ষক পরিবার।