মেঘনা টিভি নিউজ ডেস্ক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার আরও একদফা বাড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, নতুন উপদেষ্টাদের জন্য ৫টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নতুন তিন থেকে চার জন উপদেষ্টার শপথগ্রহণসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্ববন্ঠন হতে পারে।
ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারে বর্তমানে ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করছেন। ৮ আগস্ট শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথম দফায় ১৬ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ৪ জন উপদেষ্টা নিয়ে সরকার পরিচালিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় আর তিন থেকে চার জন উপদেষ্টা শপথ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।আলোচনায় রয়েছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক সচিব সাবেক এবং জনতা ব্যাংক ও পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মঞ্জুরুল ইসলাম এবং শিল্পপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নামে।
আলোচনায় থাকা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নতুন করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যেই শপথের জন্য তাদের ডাক পড়তে পারে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একেক জন উপদেষ্টা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় প্রশাসের কাজে গতি অনেকটা কমেছে। উপদেষ্টারা একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যথাযত ভাবে সামলাতে পারছেন না। একারণে সরকারের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামাল দেওয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। একই ভাবে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে একজন উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এছাড়া সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কোন উপদেষ্টা নেই। প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেও তার পক্ষে এ মন্ত্রণালয় দেখভাল করেন দফতরবিহীন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। জানা গেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাশাপাশি তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।