মেঘনা টিভি নিউজ ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে আলোচনা শেষে যমুনার সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে দলটির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম একথা বলেন। শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপির নেতারা।
তিনি বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কারণে এই দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
আলোচনার বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আলোচনা করেছি এবং লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। প্রথমবার যখন এসেছি, তখন ১০৩টা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আজ আরও ২৩টা প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের দল কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য বা কাউকে জেল থেকে মুক্তির জন্য কোনো প্রস্তাব দেয়নি। যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের জনগণের যা প্রয়োজন, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন, সুন্দর প্রশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, এই পয়েন্টগুলো আমরা দিয়েছি।’
অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা পুরো জাতি জুলাই-আগস্টে একটা যুদ্ধের মধ্যে গেলাম। এই যুদ্ধটা করা হলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কেন হলো, কারণ তারা অন্যায়ভাবে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। জনগণের সঙ্গে মুখোমুখি করেছে। দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, দেশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এলডিপি নেতা আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমাদের বহু ছেলেমেয়ে হতাহত হয়েছে। দেড় হাজারের ওপরে আমাদের ছেলেমেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকে বলে আরও বেশি হবে যার কোনো হিসাব নাই। অনেক লাশ পুড়িয়ে ফেলছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে।১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে অলি আহমদ বলেন, ‘জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করছিলো, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন আমরা তাদের নিষিদ্ধ করেছিলাম। আজকে কী কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
সংস্কার কমিশন নিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘সংস্কার কমিশন গঠন করলে হবে না, কমিশনকে রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দিতে হবে। এই রূপরেখা তৈরি করার পরে পুরো বাংলাদেশের যারা যারা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নতুন করে খসড়া তৈরি করবে। খসড়া শেষে তারা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করবে। ওয়ার্কশপ শেষে তারা চূড়ান্ত করবে আগামীর বাংলাদেশে কী কী সংস্কার করবে। তারপর রাজনীতিবিদদের কাছে এই সংস্কার কপি দেওয়া হবে। এর ওপর রাজনীতিবিদদের লিখিতভাবে মতামত দিতে হবে।