খলিলুর রহমান রানা।।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় উভয় পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরাঞ্চল নিলক্ষার দড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দা গুলশানারা কবীর একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ২৫ বছর বয়সী মামুন মিয়া একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। ১৫ দিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নিলক্ষার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রয়াত শহীদ মেম্বারের দলের সঙ্গে ফেলু মিয়ার দলের দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমবার সকালে স্থানীয় বাজারে ফেলু মিয়ার মেয়ের জামাতা মামুন মিয়ার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং উভয় পক্ষের মধ্যের গোলাগুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মামুনসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ এবং বাকিরা আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের আরএমও সৈয়দা গুলশানারা কবীর বলেন, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এক জন মারা গেছেন।
গুলিবিদ্ধ আহত মামুনের পিতা আউয়াল মিয়া (৫৫) এবং পরশ মিয়া নামের আরও এক জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।