কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনা কয়রা উপজেলার কয়রা সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব বি সি পি সি খুলনা জেলা কমিটির অফিস দখল করে আড্ডা ঘর বানিয়েছে কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান।মঙ্গলবার সকালে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহা হিরো বিষয়টি গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেন। উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক এম.এ হাসান কয়রা সদরে ইমান মার্কেটে অবস্থিত কয়রা সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির অফিস জোরপূর্বক দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁর লোকজন নিয়ে আড্ডা দেন।তিনি কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জনসংযোগের সুবিধার জন্য অফিস রুমটি দখল করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কয়রা সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন বলেন,কয়রা সদরে অবস্থিত ‘কয়রা সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির’ কার্যালয় গত ১৭ আগস্টের পর হতে বিএনপি উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান সাংবাদিক সংগঠনর অফিসটি তাঁর পার্টি অফিস করার জন্য ছেড়ে দিতে বলেন।তিনি এ বিষয়ে বারবার জোর করেন।তিনি আমাদের সদস্যদের কে অফিস খালি করার জন্য বারবার বলেন।তিনি আলাদা পার্টি অফিস করার জন্য কয়রা সদরে ইমান মার্কেটস্থ আমাদের সাংবাদিক সংগঠনের অফিস রুম পহেলা অক্টোবর থেকে জোর করে দখল করে নিজের পার্টি অফিস বানান।আমাদের না জানিয়ে আমাদের অফিস হতে সকল কাগজপত্র,ডকুমেন্ট, চেয়ার টেবিল,নেমপ্লেট ও ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কয়রা সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তারিক লিটু বলেন,উপজেলা বিএনপি নেতা এম এ হাসান আমাকে জানান তিনি কয়রা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য অফিস রুমটি তার প্রয়োজন।
আমরা ভয়ে তাকে কিছু জানাইনি। তিনি বর্তমানে নিয়মিত আমাদের অফিস রুম ব্যবহার করেন এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁর পন্থী লোকজন নিয়ে মার্কেটের সামনে আড্ডা দেন।অফিম দখলের বিষয় নিয়ে আমরা লিখিত কোন অভিযোগ করেনি,সমঝোতার মাধ্যমে অফিস পাওয়ার চেষ্টা করছি।
কয়রা বাজারের একজন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন,মার্কেটে সাংবাদিকদের অফিসটি অনেক দিন ধরে আছে।হঠাৎ কিছু দিন হলো অফিসটি বিএনপি নেতা দখল করে নিয়েছে।আমাদের দেখা ছাড়া কিছু করার নেই কারণ তার এখন অনেক ক্ষমতা, কিছু বললে হয়ত শারীরিক ভাবে লাঞ্চনা ও আমাদের ব্যবসা করতে দিবে না।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো.শাহআলম বলেন,সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব খুলনা জেলা কমিটির অফিস দখলের সংবাদ শুনেছি তবে এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।