শিশু রাহি হত্যা মামলায় গ্রেফতার রেজোয়ান কবির। মাদকের টাকার জন্য কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নুসরাত জাহান রাহি (৯) নামের কন্যা শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রধান আসামি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রাম থেকে হত্যায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার আসামি রেজাউল ইসলাম জনি (২৩) ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সম্পর্কে জনি রাহির প্রতিবেশী চাচা।
নিহত নুসরাত জাহান রাহি আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ও আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, জনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। ৯ মাস আগে সে বিয়ে করে। বিয়ের পর মাস চারেক আগে সে চাকরি হারায়। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে জনি। গ্রামের বাড়িতে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে সে রাহির কানে থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শনিবার সকালে রাহি তার বান্ধবী মিতা বসুর সাথে খেলা করছিল। জনি রাহিকে খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে নির্জন হলুদ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে রাহির কানে থাকা সোনার দুল জোর করে খুলে নেয়। রাহি এ ঘটনা বাবা-মাকে বলবে বলে হুমকি দিলে জনি রাহিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাহির মরদেহ গুম করতে তার গেঞ্জি ছিড়ে হাত-পা বেঁধে পাশে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। দুপুরের পরে সে ছিনিয়ে নেওয়া কানের দুল বুধহাটা বাজারের পলাশ জুয়েলার্সে ৯ হাজার টাকায় বেচে দেয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু কন্যা রাহির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় রাহির বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় জনিকে গ্রেফতার করা হয়।